স্টাফ রিপোর্টার”- বাহুবল সদর ইউনিয়ন পরিষদের নন্দিত চেয়ারম্যান আজমল হোসেন চৌধুরীর নজরকাড়া শো-ডাউনে চমক সৃষ্টি হয়েছে। ষষ্ট ধাপের স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ইমেজ সম্পন্ন এ প্রার্থী নৌকা প্রতীক থেকে বঞ্চিত হওয়ায় হাজারো কর্মী-সমর্থক বিমর্ষ হয়ে পড়েছেন। -কান্নায় ভেঙে পড়েন অনেক কর্মী-সমর্থক।’
বিশেষ করে গত রবিবার সন্ধ্যার পর শত শত কর্মী-সমর্থক নৌকার মনোনয়ন বঞ্চিত চেয়ারম্যান আজমল হোসেন চৌধুরীর বাড়িতে দোকানপাট বন্ধ করে জড়ো হন এবং তাকে নৌকা প্রতীক থেকে বঞ্চিত করায় কান্নায় ভেঙে পড়েন।’
ইউনিয়নের বিভিন্ন স্তরের কর্মী সমর্থকরা আবার তাকে চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চান । বিক্ষুব্ধ সমর্থকদের অভিমত, আজমল হোসেন চৌধুরী শুধু চেয়ারম্যান নন। তিনি বাহুবল ৪নং সদর ইউনিয়নের গরীব-দুঃখী ও নিপীড়িত-নির্যাতিত জনসাধারণের বন্ধু।
কিন্তু এলাকার কতিপয় বিশ্বাসঘাতকদের চক্রান্তে নৌকা প্রতীক থেকে আজমল হোসেন চৌধুরী বঞ্চিত হলেও জনগণ তার পাশে ছিল। ভবিষ্যতেও তার পাশে থাকবেন ইউনিয়নবাসী । তার সমর্থকরা বলেন, আজমল চৌধুরী পারিবারিকভাবে বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির ধারক।দীর্ঘ ৬ বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন আজমল চৌধুরীর পিতা মরহুম নজমুল হোসেন চৌধুরী।’
রাজনৈতিক জীবনে তার পিতা নজমুল হোসেন চৌধুরী ১৯৭২ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত ছিলেন থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ১৯৯২ থেকে একাধারে ২০১২ সাল পর্যন্ত বাহুবল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
সদর ইউপি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনকালীন সময়েই মৃত্যু বরন করেন আজমল চৌধুরীর পিতা নজমুল হোসেন চৌধুরী। সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন আওয়ামী পরিবারের এই কৃতি সন্তান উন্নয়নের প্রতীক নৌকা থেকে বঞ্চিত হওয়ায় হতাশাগ্রস্ত সমর্থকদের চাপের মুখে অবশেষে আজমল চৌধুরী চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সোমবার মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
এতে চমক তৈরি হতে পারে বাহুবল সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে।