বাহুবলের পল্লীতে প্রবাসী চাচার জমি জবর দখলের অপতৎপরতার অভিযোগ উঠেছে ভাতিজাদের বিরুদ্ধে । হুমকী-ধমকী সহ মিথ্যা মামলায় হয়রানির আতঙ্কে দিনাতিপাত করছেন লন্ডন টাওয়ার হ্যামলেটস্ এর সাবেক মেয়র ও কাউন্সিলরের পরিবার।
এমতাবস্থায় ভুক্তভোগী পরিবার বাংলাদেশ সরকারের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহযোগীতা কামনা করছেন।
জানা যায়, উপজেলার পুটিজুরী ইউনিয়নের হরিষচন্দ্রপুর গ্রামের ইংল্যান্ড প্রবাসী আসাদ মিয়া জীবদ্দশায় বাহুবলের সন্তুুষপুর মৌজার বিভিন্ন দাগে ২.৭৬ একর জমি খরিদা সুত্রে মালিক ও দখলদার ছিলেন।
বিগত সেটেলমেন্ট জরিপে উক্ত জমি আসাদ মিয়ার নামে মাঠ পর্চা, সত্যায়িত পর্চা এবং প্রিন্ট পর্চা যথারীতি বহাল থাকে। কিন্তু ভলিয়াম খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, জেলা উপজেলা ও ইউনিয়ন ভূমি অফিসগুলোতে উক্ত ভূমি আসাদ মিয়ার ভাই মৃত সামছুদ্দিন মিয়ার নামে রেকর্ডভুক্ত করা হয়েছে। এতে হতাশায় পরে যান মৃত আসাদ মিয়ার ওয়ারিশানরা ।
এতে আসাদ মিয়ার নিকটাত্মীয় লন্ডন টাওয়ার হ্যামলেটস এর সাবেক মেয়র ও কাউন্সিল এডভোকেট শফিকুল হক দেখে আসাদ মিয়ার ওয়ারিশগণকে সহযোগীতার জন্য এগিয়ে আসেন।
তিনি আসাদ মিয়ার ভাগিনা জয়নাল আবেদীন ফারুককে সাথে নিয়ে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ ও তল্লাসি করান।এতে দেখা যায়, জোনাল সেটেলমেন্ট সিলেট অফিসের সার্ভারে যথারীতি আসাদ মিয়ার নামে উক্ত ভূমি রেকর্ডভুক্ত আছে।
এ ব্যাপারে নিয়ম ও আইন অনুযায়ী উপজেলা ভূমি অফিস, জেলা প্রশাসন (রাজস্ব ) জোনাল সেটেলমেন্ট অফিস সিলেট ,রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর ঢাকায় অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগণের তদন্তে উক্ত ভূমি আসাদ মিয়ার মালিকানা বলে প্রমানিত হয় এবং সামছুদ্দীন মিয়ার নাম পরিবর্তন করে যথারীতি আসাদ মিয়ার নাম সংযুক্ত করা হয়।
সরকারের এ সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি মৃত সামছুদ্দীন মিয়ার ওয়ারীশগন। তারা সরকার বাহাদুর সহ আসাদ মিয়ার ইংল্যান্ড প্রবাসী তিন পুত্র যথাক্রমে এনামুল হক, এবাদুল হক, গোলাম কিবরিয়া, কন্যা রওশন জাহান শিবলী, আয়েশা শিরীন , সাবিনা বেগম, স্ত্রী নূর জাহান, নিকটাত্মীয় এডভোকেট শফিকুল হক, জয়নাল আবেদীন ফারুক সহ ১৩ জনকে আসামী করে আদালতে মামলা দায়ের করেন।
একই সাথে উক্ত ভূমি জবরদখল করার পায়তারা করছেন এবং প্রবাসীদের মোবাইল ফোনে হুমকী দিয়ে চলছেন। একই সাথে আসাদ মিয়ার প্রবাসী আত্বীয় স্বজন বর্গাচাষীদেরও হুমকী দিয়ে যাচ্ছেন।
এমতাবস্থায় ইংল্যান্ড প্রবাসী মৃত আসাদ মিয়ার পরিবার-পরিজন হতাশায় দিনযাপন করছেন। তারা সরকারের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা , প্রবাসী কল্যাণ সেল, ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা কামনা করেছেন।