নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বাহুবলে আটক আন্তঃজেলা গাড়ি ছিনতাই চক্রের চিহ্নিত দুই হোতাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। গতকাল রবিবার (৫ ডিসেম্বর) তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। শুক্রবার ৩ ডিসেম্বর ভোর রাতে উপজেলার সাটিয়াজুরী এলাকা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় টাটা কোম্পানির দুইটি ট্রাক উদ্ধার করে বাহুবল মডেল থানা পুলিশ।
পরবর্তীতে এ দুটি ট্রাক টাটা কোম্পানির বলে সনাক্ত করেন হবিগঞ্জ নিটল মটরস এর ব্রাঞ্চ ম্যানেজার গাউছুল আজম। এ ব্যাপারে লিটন মটরস এর গাউছুল আজম বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। এ প্রেক্ষিতে বাহুবল মডেল থানার এসআই ফুয়াদ আহমেদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে সাটিয়াজুরী এলাকা থেকে এনাম ও কামরুলকে গ্রেফতার করে এবং তাদের দেয়া তথ্যমতে দুটি ট্রাক উদ্ধার করা হয় ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,বাহুবল উপজেলার মিরপুর ইউনিয়নের দাসপাড়া গ্রামের আব্দুল জাহিরের ছেলে গ্রেফতার এনাম মিয়া (৩৫), হবিগঞ্জ সদর উপজেলার লস্করপুর গ্রামের আবির হোসেনের ছেলে কামরুল হোসেন (৩৪) এবং নোয়াগাও গ্রামের ডাকাত জামাল, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার উবাহাটা গ্রামের তালব ওরপে ল্যাংরা তালেব, চুনারুঘাটের গোবরখলা গ্রামের বাবুল সহ একটি সংঘবদ্ধ চক্র দীর্ঘদিন যাবত হবিগঞ্জ সহ বিভিন্ন জেলায় গাড়ি ছিনতাই, প্রতারণা ও বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে আসছিলো।
শুক্রবার ভোর রাতে বাহুবল মডেল থানার টহল পুলিশ এনাম মিয়াকে আটক করে । থানায় আটক এনামকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সাটিয়াজুরী এলাকা থেকে (ঢাকা মেট্রো-১৪-০৪৯৩) ও যশোর ট-১১-১১৪৬ দুটি ট্রাক জব্দ করা হয়। ওই দুটি ট্টাক বাহুবল মডেল থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।
সাটিয়াজুরীর রাঘের বাজার এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানান, শায়েস্তাগঞ্জ লেঞ্জাপাড়ার বাবুল ইঞ্জিনিয়ার ট্রাকের যন্ত্রাংশ খোলার সময় গাড়ি কথিত এনাম দারোগার বলে পরিচয় দেয়। এসময় গাড়ি চোর চক্রের সদস্যরা স্থানীয় হিফজুল কোরআন নুরানী মাদ্রাসা থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বাবদ ক্যাশিয়ার মুহিবুর রহমানকে দেয় এক হাজার টাকা।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও এসআই ফুয়াদ আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটক এনাম ও কামরুলকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের অন্যান্য সহযোগীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।