ঢাকা মহানগরের আটটি স্কুলে ১২ থেকে ১৭ বছরের শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে দিনে ৫ হাজার করে মোট ৪০ হাজার টিকা দেওয়ার কথা রয়েছে। তবে শুরুতে স্কুলের ধারণক্ষমতার কারণে তার অর্ধেক টিকা দেওয়া সম্ভব হলেও চলতি সপ্তাহ থেকে এ সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে বলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে জানানো হয়েছে।
রাজধানী ঢাকার হার্ডকো ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, সাউথপয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ, চিটাগং গ্রামার স্কুল, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা কমার্স কলেজ, কাকলি হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, সাউথ ব্রিজ স্কুল, স্কলাসটিকা স্কুল কেন্দ্রে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গত সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে টিকা কার্যক্রম শুরু করা হয়। পরদিন থেকে অন্য কেন্দ্রেও টিকাদান শুরু হয়েছে।
এই টিকাদান কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলে মাউশির পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) শাহেদুল খবির চৌধুরী শনিবার (৬ নভেম্বর) জাগো নিউজকে বলেন, রাজধানীর আটটি কেন্দ্রের প্রতিটিতে প্রতিদিন ৫ হাজার শিক্ষার্থীকে মোট ৪০ হাজার টিকা দেওয়ার কথা থাকলেও ধারণক্ষমতা না থাকায় সেটি সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে শুরুতে প্রতিটি কেন্দ্রে দুই থেকে আড়াই হাজার করে প্রতিদিন টিকা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, চলতি সপ্তাহ থেকে কেন্দ্রের ধারণক্ষমতা অনুযায়ী টিকা দেওয়ার সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভেতরে ধারণক্ষমতা থাকলেও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অভিভাবক আসায় কেন্দ্রের গেটের সামনে ভিড় তৈরি হয়। সেটি বিবেচনা করে সংখ্যা বাড়ানো হবে। পরিমাণ বাড়ালে যেন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সেটিও গুরুত্ব দেওয়া হবে।
আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত এই টিকাদান কার্যক্রম চলবে জানিয়ে শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেন, চলতি সপ্তাহের শুরু থেকে টিকার সংখ্যা বাড়ানোর কথা থাকলেও চলমান পরিবহন শ্রমিকদের ধর্মঘটের কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এটি বাস্তবায়ন করা হবে।
এদিকে কোনো শিক্ষার্থী টিকা নেওয়ার নির্ধারিত সময়ে অনুপস্থিত থাকলে পরে টিকা দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ জানিয়েছেন একাধিক অভিভাবক। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাউশির পরিচালক বলেন, কোনোভাবে শিক্ষার্থী নির্ধারিত দিনে টিকা না পেলে স্কুলে তথ্য জানাতে হবে।
কতজন টিকা পায়নি সেটি স্কুল কর্তৃপক্ষ ঢাকা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে তথ্য দিলে সেটি আমাদের কাছে পাঠানো হবে। টিকাবঞ্চিতদের নতুন করে তালিকা সেই কেন্দ্রে পাঠানো হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে আবারও তাদের কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য এসএমএস দেওয়া হবে।