পুরান ঢাকার সোয়ারীঘাটের রাবার শিট তৈরির কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ পাঁচজনের লাশ দেখে চেনার কোনো উপায় নেই বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ডিএনএ পরীক্ষায় পরিচয় নিশ্চিত হলেই লাশ তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে চকবাজার থানার ওসি আব্দুল কাইউম জানান। তিনি বলেন, মৃতদেহ স্বাভাবিকভাবে চেনার উপায় নেই। পরিচয় শনাক্তে ডিএনএ পরীক্ষার বিকল্প নেই।
মৃতদেহগুলো থেকে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করছে সিআইডির ফরেনসিক বিভাগ। সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার রোমানা আক্তার বলেন, ডিএনএ পরীক্ষায় পরিচয় শনাক্তে ২১ থেকে ৩০ দিন লাগবে।
বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১টা দিকে সোয়ারীঘাটের কামাল বাগে ‘রোমানা রাবার’ নামের ওই কারখানায় আগুন লাগে। অগ্নিনির্বাপক বাহিনীর আটটি ইউনিট দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
সেখান থেকে পাঁচজনকে মিটফোর্ড হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। পাঁচজনই ছিলেন ওই কারখানার শ্রমিক ছিলেন।
শুক্রবার মিটফোর্ডের মর্গে হাজির হয়ে অনেকে তাদের আত্মীয়-স্বজন হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। তাদের দাবি অনুযায়ী, নিহতরা হলেন- মানিকগঞ্জের আমিনুর রহমান (৩০) ও কিশোরগঞ্জের শামীম মিয়া(৩৫), চাঁদপুরের মনির হোসেন (৩১), বরিশালের আব্দুর রহমান রুবেল (৩৫) ও শেরপুরের কামরুল ইসলাম (২২)।
মানিকগঞ্জের আমিনুরের চাচাতো ভাই বাবু বলেন, আড়াই বছর ধরে আমিনুর এই কারখানায় কাজ করত। এবার ছুটি শেষে বৃহস্পতিবারই বাড়ি থেকে কাজে এসেছিল। তার ছোট ছোট তিন সন্তান রয়েছে।
শামীম মিয়া ওই কারখানায় পাঁচ বছর ধরে কাজ করত বলে জানান তার চাচাতো ভাই পরিচয় দেওয়া উজ্জ্বল নামে একজন। হাজি রফিক নামের এক ব্যক্তির মালিকানাধীন ওই কারখানায় রাবার শিট তৈরি হত, সেখান থেকে কেটে জুতার ‘সোল’ তৈরি হত।
আগুন লাগার কারণ প্রাথমিকভাবে জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। ওই কারখানার পাশে একটি কাঁচাবাজার ছিল। আগুনে বাজারের সব মালামাল পুড়ে গেছে বলে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা জানান।