সরেজমিন দেখা যায় বাহুবল ইউনিয়নের সদর ওয়ার্ডের বাহুবল-হরিতলা সড়কের একাংশ করাঙ্গী নদীর স্রোতের পানিতে ভেঙে গেছে। জোড়াতালি দিয়ে কোনমতে চলাচলের উপযোগী করে রাখা হয়েছে সড়কটি। দ্রুত ভাঙ্গন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন না করলে সড়কের অবশিষ্ট অংশ নদীর গর্ভে বিলিন হয়ে যেতে পারে।
স্থানীয় লোকজন জানান, উক্ত সড়ক দিয়ে হরিতলা, উত্তরসুর, জয়নাবাদ,পুরানমৌড়ী, মৌড়ী, টিলাবাড়ী, রামপুর, ফয়জাবাদ, বাদামটিলা সহ কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ চলাচল করেন।
অপরদিকে, উপজেলার মিরপুর ইউনিয়নের পশ্চিম জয়পুর-সাটিয়াজুরী সড়কের পশ্চিম জয়পুর গ্রামের ভিতরের কিছু অংশ জোনাল নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। যেকোনো মুহূর্তে সড়কটির পুরো অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
পশ্চিম জয়পুর গ্রামের ভিতর দিয়ে চলে যাওয়া পাকা সড়ক পথে পার্শ্ববর্তী চুনারুঘাট উপজেলাসহ বিভিন্ন গ্রামের অন্তত ১০ হাজার মানুষ চলাচলের এক মাত্র যোগাযোগ ব্যবস্থা। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন ট্রাক্টর,সিএনজি অটোরিক্সা সহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে।
ওই সড়কের একটি অংশ গ্রামের ভিতর দিয়ে বয়ে যাওয়া জোযনাল নদীতে বিলীন হওয়ার পথে। সড়কটি পুরো বিলীন হয়ে গেলে হাজার হাজার মানুষের দুর্ভোগের সীমা থাকবে না।
সম্প্রতি সরকার নদীটি খনন করলে সড়কটি ভাঙ্গনের কবলে পড়ে। এমতাবস্থায় স্থানীয় লোকজন সড়কের অপরদিক মাটি দিয়ে ভরাট করে আসা যাওয়া করছে।
পশ্চিম জয়পুর গ্রামের বাসিন্দা আলহাজ্ব হোসাইন আহমদ শামীম বলেন, ওই সড়ক দিয়ে শুধু বাহুবল উপজেলার বাসিন্দাই নয়, চুনারুঘাট উপজেলার সাটিয়াজুরী, সুন্দরপুর এলাকার হাজার হাজার মানুষ আসা যাওয়া করেন।
পশ্চিম জয়পুর গ্রামের ওয়ার্ড মেম্বার শামীম আহমদ বলেন, সড়কটি খুব গুরুত্বপূর্ন। সড়কটি দ্রুত মেরামত করে দিতে এলজিইডি পানি উন্নয়ন বোর্ড সহ বিভিন্ন অফিস আদালতে তদবির করেছি। দেখি কি করা যায়।
বাহুবল উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম বলেন, আমি ৩/৪দিন হল যোগদান করেছি, বিষয়টি জানতে পারিনি। বিষয়টি জেনে অবশ্যই দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহন করব।