1. admin@notunkurisylhet.com : notun :
রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:৩৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বাহুবলে চা শ্রমিকদের মাঝে কম্বল বিতরণ করলেন আব্দুর রউফ বাহার শান্তিগঞ্জে মহাসিং নদীর ফসল রক্ষা বাঁধ কেটে তাহিয়া ইটভাটায় মাটি বিক্রির অভিযোগ বাহুবলের বিধান ড্রাইভারের পরলোকগমন হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে আহলে সুন্নাত উলামা পরিষদের সীরাতুন্নবী সা.মহাসম্মেলনে ধর্ম উপদেষ্টা সুনামগঞ্জ বাণিজ্যিক কেন্দ্র বাদাঘাট বাজারে ছাত্র সমাবেশ অনুষ্ঠিত সুনামগঞ্জে ডিবি পুলিশ কর্তৃক বিদেশি মদসহ ৩ মাদক কারবারি গ্রেফতার বিশ্বম্ভরপুরে বিজিবি’র সহযোগিতায় শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ। আত্রাইয়ে অফসোনিন ফার্মা লিমিটেড এর উদ্যোগে এক দিনের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত নওগাঁয় এক বছর ধরে গাঁজার গাছ পরিচর্যা, অতঃপর আটক আত্রাইয়ে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে এক কৃষি শ্রমিকের মৃত্যু

তদন্তের মুখে বাহুবল উপজেলা চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান

বাহুবল হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ৪০৫ বার পঠিত

বাহুবল (হবিগঞ্জ)  প্রতিনিধি।। সরকারি নীতিমালা লঙ্ঘন করে  আত্মীয়-স্বজনকে গৃহসহ অনুদান দেয়ার কারণে বাহুবল উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ খলিলুর রহমান তদন্তের মুখে পড়েছেন। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে তাকে স্বীয় পদ হত বরখাস্ত করা হতে পারে।  তদন্তে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে চেয়ারম্যান সৈয়দ খলিলুর রহমানের বক্তব্য জানতে চাওয়া হয়েছে। গত ১৮ আগস্ট সিলেট বিভাগীয় কমিশনার অফিসের স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালকের দেয়া এক চিঠি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

 

চিঠির অনুলিপি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব, হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও বাহুবল উপজেলা নির্বাহী অফিসারকেও দেয়া হয়েছে।

 

গত ১৮ আগস্ট সিলেট বিভাগীয় কমিশনার অফিসের স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক মোঃ ফজলুল কবীর স্বাক্ষরিত সৈয়দ খলিলুর রহমানের কাছে প্রেরিত পত্রে বলা হয়, বাহুবল উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে তার আত্মীয় স্বজনকে সুবিধা প্রদান সংক্রান্ত বিষয়ে গত ২০ মে একটি অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে।

 

এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা পরিষদ আইন-১৯৯৮ এর ১৩ ধারা অনুযায়ী তাকে স্বীয় পদ হতে অপসারণের লক্ষ্যে উপজেলা পরিষদ সদস্য ও

মহিলা সদস্যদের (অপসারণ, অনাস্থা ও পদ শূন্যতা) বিধিমালা ২০১৬ অনুযায়ী তদন্ত শুরু হবে। এরকম পরিস্থিতিতে বর্ণিত অভিযোগের বিষয়ে তার কোনো বক্তব্য থাকলে তা চিঠি পাওয়ার ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে দালিলিক প্রমাণাদি সংযুক্ত করে সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের কাছে পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে।

 

এদিকে সরকারি অনুদান নিজের স্বজনদের নামে বরাদ্দ ছাড়াও বিজয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান সহ অন্যান্য জাতীয় অনুষ্ঠানে উপজেলা পরিষদে না থাকার কারণে উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ খলিলুর রহমান আগে থেকেই বিতর্কের মুখে পড়েন। যা বিভিন্ন সময় স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যম সহ অনলাইন পোর্টালে বিস্তারিত প্রকাশিত হয়। এমনকি সোস্যাল মিডিয়ায়ও ব্যাপক লেখালেখি হয় উপজেলা চেয়ারম্যানের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড নিয়ে।

 

এরই ধারাবাহিকতায় তার বিরুদ্ধে তদন্তের চিঠি দেয়া হয়েছে বলে তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে বিধিমতে তাকে বরখাস্ত করা হতে পারে। । এব্যাপারে সিলেট বিভাগীয় কমিশনার অফিসের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, আগে কাজ শেষ হোক, তারপর মন্তব্য করা যাবে।

 

অপর একটি সূত্রে জানা গেছে, তদন্তের বিষয়ে পত্র  পাওয়ার পর উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ খলিলুর রহমান একটি ডিও লেটার সংগ্রহের জন্য বাহুবল-নবীগঞ্জের সংসদ সদস্যের দারস্থ হন। কিন্তু সংসদ সদস্য উপজেলা চেয়ারম্যানকে কোনো ডিও লেটার দেননি। এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ খলিলুর রহমানের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি পরে কথা বলার জন্য বলে কেটে দেন।

 

উল্লেখ্য গত ২ মার্চ হবিগঞ্জের সাবেক জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান সিলেট বিভাগীয় কমিশনার বরাবর পত্র মারফত জানান, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিটা) বিশেষ কর্মসূচির আওতায় গৃহহীনদের জন্য দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ প্রকল্পের একটি ঘর বাহুবল উপজেলা চেয়ারম্যান তার কন্যা ( সাবেক ইউপি সদস্যা) সৈয়দ রেজিয়া খাতুনের ছেলে সৈয়দ মামুন অর্থাৎ উপজেলা চেয়ারম্যানের নাতিকে বরাদ্দ দেন।

 

ঘরটি সৈয়দ মামুন আহমেদের নামে বরাদ্দকৃত হলেও উক্ত ঘরে বাস করেন উপজেলা চেয়ারম্যানের কন্যা সৈয়দা রেজিয়া খাতুন। এছাড়া সরকারি ওই ঘর সরকারি নকশা পরিবর্তন করে মনগড়াভাবে তৈরি  করেছেন নাতি সৈয়দ মামুন। এছাড়া বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আওতায় দরিদ্র অসহায় মহিলাদের জন্য সেলাই মেশিন বিতরণ কার্যক্রম এবং ছাত্রদের জন্য বাইসাইকেল বিতরণ প্রকল্প থেকেও আপন নাতনি তানিয়া নাজনীনকে ১টি বাইসাইকেল, পুত্রবধূ সুরালিয়া রহমান স্বপ্নাকে ১টি সেলাই মেশিন প্রদান করেন উপজেলা চেয়ারম্যান।

 

এসব অনিয়মের বিষয়ে বাহুবল উপজেলা প্রশাসন সহ সচেতন মহলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া থাকলেও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও উপজেলা চেয়ারম্যান অফিসের কম্পিউটার অপারেটর কনক দেব মিঠু অনৈতিক সুবিধা নিয়ে সহয়তা করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

 

সাবেক জেলা প্রশাসক পত্রের প্রেক্ষিতে সিলেট বিভাগীয় কমিশনার গত ২৮ মার্চ স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিবের কাছে একটি পত্র প্রেরণ করেন। এরই আলোকে গত ২০ মে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-সচিব মোহাম্মদ সামছুল হক স্বাক্ষরিত এক পত্রে সিলেট বিভাগীয় কমিশনারকে বলা হয়,

 

বাহুবল উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে তার আত্মীয় স্বজনকে সরকারি সুবিধা প্রদান সংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা পরিষদ আইন ১৯৯৮ (উপজেলা পরিষদ সংশোধন আইন-২০১১) এর ১৩ ধারা এবং উপজেলা পরিষদ সদস্য ও মহিলা সদস্যদের (অপসারণ, অনাস্থা ও পদ-শুন্যতা) বিধিমালা, ২০১৬ অনুযায়ী সরেজমিন তদন্তক্রমে মতামতসহ পাঠাতে নির্দেশ দেয়া হয়।

 

এ প্রেক্ষিতেই সিলেট বিভাগীয় কমিশনার অফিসের স্থানীয় সরকার বিভাগ তদন্তের কাজ শুরু করেছে।

 

এটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © 2024
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: FT It Hosting