হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার বাদে আকিলপুর জনসাধারণ চলাচলের রাস্তায় খাল খনন নিয়ে দু’ পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, এ ঘটনায় হাজী সানু মিয়া বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার ভূমি ও বাহুবল মডেল থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
জানা যায়, বাহুবল উপজেলার আকিলপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে হাজী সানু মিয়ার গোহারুয়া মৌজায় প্রায় ৩৫ শতক ধানী জমি রয়েছে,হাজী সানু মিয়ার জমির পাশাপাশি রয়েছে একই গ্রামের মৃত আব্বাস মিয়ার ছেলে মোঃ আব্দুল খালেক মিয়ার বসতবাড়ি।
গোহারুয়া রাস্তা হইতে ভেড়াখাল,সুন্দ্রাগাও লামা ভেড়াখাল গ্রামবাসী চলাচলের জন্য রয়েছে প্রায় ৬ ‘ফুট প্রস্তু সরকারী রাস্তা, যে রাস্তা দিয়ে দীর্ঘদিন যাবত চলাচল করে আসছেন উল্লেখকৃত গ্রামবাসী ও ফাটাবিল ব্রিজের পূর্ব পাশে অবস্থিত জমির মালিক হাজী সানু মিয়া ও বসতবাড়ির মালিক মোঃ আব্দুর খালেক।
এই জনসাধারণ চলাচলের রাস্তাটি ২০১৬ ও ২০১৭ সালে কর্মসৃজন প্রকল্পের মাধ্যমে মাটি কেটে ভরাট করে প্রস্তু করা হয়।
গত ২৭/০৪/২০২১ তারিখে বিকেলে অনুমান ৫ টার দিকে হাঠাৎ করে মোঃ আব্দুল খালেক তার লোকজন নিয়ে দলবদ্ধভাবে রাস্তার উপর প্রায় ১৫০ ফুট দৈর্ঘ্যে ও ১.৫ ফুট প্রস্তু একটি নালা খনন করে জনসাধারণ চলাচলের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন।
এ ঘটনায় হাজী মোঃ সানু মিয়া বাদী হয়ে মৃত আব্বাস মিয়ার ছেলে মোঃ আব্দুল খালেক ও তার ছেলে কাওছার মিয়া সহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার ভূমি ও বাহুবল মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। হাজী মোঃ সানু মিয়ার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা প্রশাসন ও সহকারী কমিশনার ভূমি সরেজমিন তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ও আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়।
কিন্তু মহামারী করোনাকালীন সময়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা না নেয়ায় আবারও বিরোধীয় নালা খনন নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ও উত্তেজনা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, যেকোনো সময় মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি ও সংর্ঘষের আশংকা বিরাজ করছে।