আজিজুল হক সানু: বাহুবলের গুঙ্গিয়াজুরি হাওরে চাষাবাদকৃত প্রায় শতাধিক ক্ষের বোরো জমি এখন গো-চারণ ভূমিতে পরিণত হয়েছে। শুধু তা-ই নয়,গোয়ালবাদা গ্রামের সংখ্যালঘু সহ অর্ধশতাধিক কৃষকের মাঝে অভাবনীয় হতাশা দেখা দিয়েছে।এমনকি হামলা-মামলার ঘটনাও বাড়তে শুরু করেছে।
জানা যায়,দক্ষিণ স্নানঘাট গ্রামের নিকটবর্তী গুঙ্গিয়াজুরি হাওরে উপজেলার গোয়ালবাদা গ্রামের সংখ্যালঘু সহ ৫০জন কৃষক একমাত্র বোরো জমি চাষাবাদ করছেন।
ওই এলাকার মানুষের মুখে হাসি ফুঠিয়ে তুলতে বোরো জমিনই ভরসা। এতে শতাধিক ক্ষের পতিত জমিতে এবার কৃষকেরা বোরো চাষ করেন। এমতাবস্থায়, স্নানঘাট গ্রামের কয়েক ব্যক্তি প্রতিনিয়ত চাষাবাদকৃত ভূমিতে গরু চড়াতে থাকে এবং গরু দিয়ে রুপনকৃত বোরো জমিনের চারা খাওয়াইয়ে মুণ্ডন করে দেয়া হয়।
কৃষকদের পক্ষে ফসলী জমিতে গরু না চড়ানোর অনুরোধ রাখা হলেও কেউই অনুরোধ না রেখে অবাধে গরু চড়ানোর মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেয়া হয়। এমনি খবর অনুসন্ধানকালে গোয়ালবাদা গ্রামের সমিরন দাশ প্রকাশ বিজিত জানান, তিনি পেশায় কৃষক। কৃষিকাজের মধ্যদিয়ে স্ত্রী-সন্তানের মুখে খাবারজুটে। দক্ষিণ স্নানঘাট গ্রামের পাশে হাওরে বিজিত সহ গোয়ালবাদা গ্রামের প্রায় ৫০ ব্যক্তি পতিত জমিনে বোরো চাষ করেন।
এতে ওই গ্রামের কয়েক ব্যক্তি চাষকৃত ধানের চারা গরু দিয়ে খাইয়ে মুন্ডিয়ে দেয়। তিনি দাবী করে বলেন, গত ১৫ ফেব্রুআরি সকাল ১০টার দিকে স্নানঘাট গ্রামের বশির মিয়া সহ কয়েক যুবককে জমিতে গরু চড়ানো দেখে পেয়ে তিনি বাঁধা দিলে বশির মিয়া সহ কয়েকজন মিলে তাকে মারধোর করা হয়।
আহত অবস্থায় বাহুবল হাসপাতালে চিকিৎসা নেন এবং বাহুবল মডেল থানায় প্রতিকারের দাবীতে অভিযোগও করেছেন। একই গ্রামের অসিত দাশ জানান, গো-চারণের কারনে ফসলের ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়েছে।
এ ক্ষতি পুষিয়ে উঠা কোনভাবেই সম্ভব নয়। হরিপদ ও রমা দাশ জানান, গরু দিয়ে ফসল খাইয়ে ক্ষতি করার প্রতিবাদ করার অপরাদে কৃষকদের জমিনে যেতে আপত্তি জানানো হয়েছে।