বাহুবল (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ ব্লাড ফর লাইফ ইন বাংলাদেশ বাহুবল উপজেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি তৃষ্ণা আক্তার ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক বাহুবল উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ খলিলুর রহমানের পুত্র সৈয়দ ইসলাম বাবুকে সংগঠন বিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার স্পষ্ট অভিযোগে কেন্দ্রীয় সংগঠনের সিদ্ধান্তক্রমে সংগঠন থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক সুফল মোদক স্বাক্ষরিত পত্রে এ বহিষ্কারাদেশ জারী করা হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, চলিতাতলা নোয়াগাঁও গ্রামের লন্ডন প্রবাসী আব্দুল হাই ছাবু মিয়ার কন্যা তৃষ্ণা আক্তার ব্লাড ফর লাইফ ইন বাংলাদেশ সংগঠনে যোগদান করে মুমূর্ষূ রোগীদের রক্ত দানের মধ্যদিয়ে নিজেকে সর্ব মহলে পরিচিত করেন। পরবর্তীতে উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ খলিলুর রহমানের পুত্র সৈয়দ ইসলাম বাবু ওই সংগঠনে যোগদান করে সমাজ কল্যাণ সম্পাদক পদ লাভ করেন। এর পর থেকেই সংগঠনের নিয়মবহির্ভূত কার্যকলাপে জড়ায় এই দু’জন। ফলে উভয়কেই সংগঠন থেকে বারবার সতর্ক করার পরও তাদের বেপরোয়া চলাফেরায় কর্তৃপক্ষ বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন। উল্লেখ্য, সৈয়দ খলিলুর রহমান চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার আগে তার পুত্র সৈয়দ ইসলাম ঢাকার একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে নিম্ন একজন কর্মচারী ছিল, যার বেতন ছিল মাত্র ৮ হাজার টাকা। তার বাবা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর পরই চাকুরি ছেড়ে স্ত্রী সন্তান ফেলে রেখে বাহুবলে এসে চেয়ারম্যান বাবার সাথে যোগদেয় সে। যার ফলে অর্থ বিত্ত স্বয়ংক্রিয়ভাবে ধরা দেয়। অভাবের সংসারে বছর ঘুরতেই প্রাইভেট কারও খরিদ করে ঘুরাফেরা করছে বাবু। এর পর থেকেই সাধারণ মানুষের নজরে এলে শুরু হয় তুমুল সমালোচনা। ইসলামের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ইসলামের স্ত্রী জীবন বাচাঁতে একটি গার্মেন্টসে চাকুরি করে মেয়ে সন্তান নিয়ে অতিকষ্টে দিনাতিপাত করছেন।কিন্তু বাহুবল উপজেলা চেয়ারম্যান পুত্র সৈয়দ ইসলাম বাবু, ঢাকাতে নিজের স্ত্রী সন্তান রেখে বাহুবল এসে বেপরোয়া চলাফেরা ও বিলাসবহুল জীবনযাপন করছেন ইসলাম, এ নিয়ে বাহুবলের সর্বত্র আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে