পরিপূর্ণ মানুষ হলে সব অনুমান করা সম্ভব
সাংবাদিক ফরজুন আক্তার মনি; বাংলাদেশে কিছু দিন যাবৎ একটা সংগ্রাম শুরু হয়েছে, কিন্তু কিছুই লিখিনি।শুধু সমস্ত বিষয়াদি অনুভব করছি।পুরো বিষয়াদি না জেনে লেখা আমার অন্যায় হবে,তা ভেবে লিখিনি।কয়েক দিনে অনেক তথ্য সংগ্রহ করে আজ লিখতে বাধ্য হলাম।
আমি একজন বাংলাদেশী ধর্মপ্রাণ মানুষ।যুগ যুগ ধরে আমাদের পূর্ব পুরুষ সহ আমরা মহান আল্লাহ কে বিশ্বাস করি ও আল্লাহর রাসুল হযরত মোহাম্মদ সাঃ কে বিশ্বাস এবং আল্লাহর দেওয়া দ্বীন ইসলাম কে মনে প্রাণে বিশ্বাস করি।সেই দ্বীন আমাদের নিকট পৌঁছে দেওয়ার জন্য যুগে যুগে নবী ও রাসুল প্রেরন করেছেন, তারপর অলি,আউলিয়া পাঠিয়েছেন।তাঁরা আমাদের বুঝিয়ে সুজিয়ে সঠিক রাস্তা দেখানোর জন্য মহান আল্লাহ আমাদের নিকট তাঁদেরকে পাঠিয়েছেন।মহান আল্লাহ রাহমানুর রাহীম কখনও বলেননি,যে ইসলাম গ্রহণ করবে না,তাদেরকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছাই করে দাও।ইসলাম মহা শান্তির ধর্ম,তাই নবী রাসুল গণ তাঁদের আদর্শ দিয়ে আমাদের কে দ্বীনের দাওয়াত দিয়ে মুসলমান করিয়াছেন।নবী রাসুল ও আল্লাহর অলি আউলিয়ার কঠোর পরিশ্রমে আজ আমরা মুসলিম।তাই মহান আল্লাহ কে মনে প্রাণে বিশ্বাস করি,আল্লাহর প্রেরিত নবী রাসুল ও অলি আউলিয়া গণ কে মনে প্রাণে বিশ্বাস করি,আল্লাহর দ্বীন ইসলাম কে মনে প্রাণে বিশ্বাস করি বলেই,আলেম গণ কে যুগ যুগ ধরে সম্মান শ্রদ্ধা করে,নিজে না খেয়েও আলেমগণ কে ভালো খাবার খাওয়ার জন্য পাগল হয়ে যাই।আমি কোনো আলেম নয়,তবে মুসলমানের ঘরে জন্ম।তাই কোনো আলেম গণের সাথে বেয়াদব করা আমার পরিবারের শিক্ষা নয়।আমি আলেম নয়,তবে আত্মীয় স্বজন দের মধ্যে কেউ না কেউ আছেন হয়তো।তবে অপরাধ সবার বেলায় আল্লাহর নিকট সমান।যেমন,আদম ও বিবি হাওয়া (আঃ) কে মহান আল্লাহ গন্ধম খেতে নিষেধ করেছিলেন।আল্লাহর অবাধ্য হওয়ায়,তাদেরকেও শাস্তি দিয়েছিলেন।এতেই বুঝতে পারলাম সবার গুনাহর শাস্তি সমান।মহান আল্লাহ তাদেরকে কখনও ছাড় দেননি। পৃথিবীতে যত নবী রাসুল ও অলি আউলিয়া গণ আসলেন,সবাই ইসলামের দাওয়াত বেদ্বীনদের নিকট পৌঁছিয়াছেন।তখন কোনো বাধা সৃষ্টি হলে যুদ্ধে গিয়েছেন।কিন্তু কোনো মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেননি।আজ বাংলাদেশে যা হচ্ছে,তা থেকে প্রমাণ হচ্ছে বড় ধরনের রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বা ষড়যন্ত্র।বাংলাদেশ সরকার বেদ্বীন নয়,তিঁনি একজন মুসলমান রাষ্ট্র প্রধান।বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অমুসলিম রাষ্ট্র প্রধান আছেন,কিন্তু এমন উশৃংখলতা বা অরাজকতা আজও দেখিনি।কতটা লোভ জন্ম নিলে আমরা এতো নিচে নামতে পারি,তা শুধু মহান আল্লাহ জানেন।বাংলাদেশের সব ধর্মের লোকজন আল্লাহ এবং আমাদের নবী রাসুল গণ এবং অলি আউলিয়া গণ কে কমবেশি সবাই সম্মান ও শ্রদ্ধা করেন।হযরত শাহজালাল রহঃ মাজারে গেলে সকল ধর্মের লোকজন দেখা যায়।
আমার জানতে ইচ্ছে করে,আসলেই হেফাজত কী?
আমাদের প্রাণপ্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ সাঃ কে সৃষ্টি না করলে,মহান আল্লাহ এই পৃথিবী সৃষ্টি করতেন না।সেই ফতোয়া ইসলামিক চিন্তাবিদরাই দিচ্ছেন এবং ব মোহাম্মদ সাঃ নাকি নারী লোভী ছিলেন বলে আরো বাজে কথায় কটুক্তি করে একটি মাহফিলে বলেছেন।তার প্রমাণ আমার ফেইসবুক তল্লাশি করলে পাবেন।আমি সে মোহাম্মদ সাঃ কে নিয়ে কটুকহচ্ছে যারা নবী হযরত মোহাম্মদ সাঃ যখন বাংলাদেশের গৌর গোবিন্দ রাজার হত্যাচার শুরু হয়েছিল,তখন মহান আল্লাহর অলি হযরত শাহজালাল রহঃ আথ্যাধিক শক্ত পেরে বাংলাদেশে মুসলমান ভাই কে আলেম,হাফেজ ও ইসলামিক চিন্তাবিদ গণের জন্ম হয়েছে।হযরত শাহজালাল আউলিয়া কে নিয়েও হেফাজত নেতা মামুনুল হক কটুক্তি বলেছেন, বাংলাদেশের সমস্ত মাজার ভেঙে পুড়িয়ে দাও।যত পীরের খানকা আছে,ভেঙে পুড়িয়ে দাও।বাংলাদেশের অলি আউলিয়া গণের আমাদের কারো বাবার সম্পদ নয় যে,তা ভেঙে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেবো।বাংলাদেশের আশেকান গণ যারা মাজার ভেঙে পুড়িয়ে দিবে,তাদের হাত ভেঙে দেওয়ার লোকের অভাব হবে না।